বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১২

0 আল-হাদীস


আমীরুল মু'মিনীন আবু হাফস্ উমার বিন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন-
আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবেসুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে
সহীহ্ আল-বুখারীঃ ১, সহীহ্ মুসলিমঃ ১৯০৭মুহাদ্দিসগণের দুই ইমাম আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন ইব্রাহীম বিন মুগীরা বিন বারদেযবাহ্ আল-বুখারী এবং আবুল হাসান মুসলিম বিন হাজ্জাজ বিন মুসলিম আল-খোশায়রী আন্-নিশাপুরী আপন আপন সহীহ্ গ্রন্থে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেনযা সবচেয়ে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয় বলে বিবেচিত হয়

0 1০টি হাদীস

মহানবী (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি আমার উম্মতের উপকারার্থে ৪০টি হাদীস শুনাবে এবং হেফ্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন আলেম ও শহীদগণের সহিত উঠাবেন এবং বলবেন, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা বেহেশতে প্রবেশ কর
এ বিরাট পূণ্য অর্জনের সুযোগ গ্রহণ করে লক্ষ লক্ষ পন্ডিতেরা মহানবীর (সা.) চল্লিশ হাদীস বর্ণনা করে গেছেনএখানে হেফ্য করার দুটি মানে হতে পারে১. মুখস্থ করে তা লোকদের কাছে পৌছে দেয়া ২. লিখে প্রচার করা
1. তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান” ( বোখারী)

2. কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যাই শোনে তাই যাচাই না করেই অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়” (মুসলিম)

3. হৃদয়রে প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য” (বোাখারী)

4. আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই আমলই সব চাইতে প্রিয় যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়” (বোখারী)

5. যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন যা ইচ্ছা তাই কর” (অর্থাৎ যখন লজ্জা নাই, তখন সকল প্রকার মন্দই সমান) (বোখারী)

6. ঐ ব্যক্তি বীর নয় যে কুস্তিতে লোকজনকে পরাভূত করে বরং বীর ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে” (বোখারী)

7. যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বন্ঞিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বন্ঞিত” (মুসলিম)

8. ঐ ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুসলমান যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে মুসলমানগন নিরাপদ থাকে” (মুসলিম)

9. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না” (বোখারী)

10. যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না” (বোখারী)

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১১

0 কর্মের ফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল ।

আমীরুল মু’মিনীন আবূ হাফস উমার বিন খাত্তাব (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি যে, সকল কাজের পরিণাম নিয়ত অনুযায়ী হবে প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিয়ত নিয়ে কাজ করবে সে তাই পাবে সুতরাং যার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে, তার হিজরত আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই ধরা হবে পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া লাভ বা কোন মেয়েকে বিয়ে করার নিয়তে হয়েছে তার হিজরত উক্ত উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই পরিগণিত হবে । [ বুখারী-৬৬৮৯. মুসলিম-১৯০৭ ]

আবু হুরাইরা আবদুর রাহমান বিন শাখর (রা:) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: মহান আল্লাহ তোমাদের শরীর এবং আকৃতির দিকে দেখেন না, বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে দেখেন । [ মুসলিম-২৫৬৪ ]

0 পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হারাম ।

আবু বাকারা নুফা'ই বিন হারেস [রা:] থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ [সা:] বলেছেন: আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় ও মারাত্মক গুনাহ সম্পর্কে বলব না ? এ কথাটা তিনি তিনবার বললেন । আমরা বললাম অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসুল ! তিনি বললেন : আল্লাহর সাথে শিরক করা । পিতা-মাতার আবাধ্যতা । তিনি হেলান দিয়ে ছিলেন । অত:পর সোজা হয়ে বসে বললেন: সাবধান ! মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া । এ কথাটি তিনি বার বার বলতে ছিলেন, এমনকি আমরা বলতে লাগলাম, আহা যদি তিনি থেমে যেতেন । [বুখারী ও মুসলিম]

0 হাদীস

হুযাইফা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিৎনার কথা বলতে গিয়ে বললেন: তিনটি ফিৎনা এমন যা সব কিছুতেই পতিত হবে, এর মধ্যে কিছু আছে যা গ্রীষ্মের হাওয়ার ন্যায় হবে, যার মধ্যে কিছু বড় বড় হবে আবার কিছু ছোট ছোট হবে।

[মুসলিম: কিতাবুল ফিতান ওয়াআশরাতুস্ সায়া, মাকতাবাতুস শামেলাহ্ থেকে হাদীস নং- ৫১৪৬]

0 বোখারী হাদিস

বইয়ের নাম: বোখারী শরীফ

খন্ড নং: ১

বিষয় নামায

হাদিস নং: ২৪১

পৃষ্ঠা নং: ২২২

মুগিরা (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন এক ছফরে আমি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহে অসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তিনি আমাকে বলিলেন, পানির পাত্র লও, আমি উহা লইলাম, রাসুলুল্লাহ (দঃ) নির্জন স্থানের দিকে যাইতে লাগিলেন এবং আমার অদৃশ্যে চলিয়া গেলেন। তারপর তিনি হাজত পুরা করিয়া ফিরিয়া আসিলেন এবং অজু করিতে লাগিলেন। আমি অজুর পানি ঢালিয়া দিতে ছিলাম। তাঁহার পরিধানে সিরিয়া দেশের তৈরী একটি জুব্বা ছিল। উহার আস্তিনের মুহরী সক ছিল, তাই উহা টানিয়া কনুই-এর উপর উঠানো সম্ভব হইল না, সে জন্য হস্তদয় ভিতর দিক হইতে টানিয়া উহা হইতে বাহির করিয়া লইলেন এবং পূর্ণ অজু করিয়া পা ধোয়ার পরিবর্তে চামড়ার মোজার উপর মছেহ করিলেন, তারপর নামায পড়িলেন। হযরত (দঃ) শাম দেশের তৈরী জুব্বা পরিহিত ছিলেন; সে কালে শাম দেশের অধিবাসী অমোসলেম ছিল।

 
back to top